একনি বা ব্রণ কাদের বেশি হয় এবং কেন হয় – কারণ ও সমাধান

ব্রণ শুধু বাহ্যিক সমস্যা নয়, এটি আপনার আত্মবিশ্বাসেও প্রভাব ফেলতে পারে। ত্বকের উপর হঠাৎ করে দেখা দেওয়া লালচে, ফোলাভাবযুক্ত বা পুঁজযুক্ত ব্রণ আমাদের অনেককেই বিব্রত করে তোলে। তবে কখনো কি ভেবেছেন, ব্রণ আসলে কাদের বেশি হয় এবং কেন হয়?

🔍 ব্রণ কী?

ব্রণ (Acne) হচ্ছে এক ধরনের ত্বকের অবস্থা, যা সাধারণত মুখ, কপাল, গলা, বুক ও পিঠে দেখা দেয়। এটি হয় মূলত তখন, যখন ত্বকের ছিদ্রগুলো (pores) তেল, মৃত কোষ এবং ব্যাকটেরিয়ার কারণে বন্ধ হয়ে যায়।

👩‍🎓 কারা বেশি আক্রান্ত হন?

• ১. কিশোর-কিশোরীরা: বয়সন্ধিকালে হরমোনের তারতম্য বেশি হয়, যা ব্রণের কারণ।
• ২. নারীরা: মাসিক চক্রের আগে, প্রেগনেন্সি বা পিল গ্রহণে হরমোন পরিবর্তনের কারণে ব্রণ হতে পারে।
• ৩. স্ট্রেসে থাকা ব্যক্তি: মানসিক চাপ হরমোনে প্রভাব ফেলে, যা ব্রণ বাড়াতে পারে।
• ৪. অপরিচ্ছন্ন ত্বক: নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার না করলে ছিদ্র বন্ধ হয়ে ব্রণ হয়।
• ৫. জেনেটিক কারণ: পরিবারে ব্রণের ইতিহাস থাকলে সম্ভাবনা বেশি থাকে।

❓ কেন হয় ব্রণ?

ব্রণ সাধারণত নিচের কারণগুলোতে হয়ে থাকে:

• অতিরিক্ত তেল উৎপাদন
• মৃত কোষ জমে ছিদ্র বন্ধ হয়ে যাওয়া
• ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ
• হরমোনের পরিবর্তন
• দুশ্চিন্তা ও ঘুমের অভাব
• অস্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ

✅ ব্রণ প্রতিরোধে করণীয়

• প্রতিদিন হালকা ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়া
• অতিরিক্ত ময়লা বা মেকআপ জমে থাকতে না দেওয়া
• পানি বেশি পান করা ও ফলমূল খাওয়া
• ঘুম ও মানসিক শান্তি বজায় রাখা
• ব্রণ খোঁচানো বা চেপে না ফেলা

✨ শেষ কথা

ত্বকের সৌন্দর্যই আত্মবিশ্বাসের প্রথম ধাপ। ব্রণ হলে ভয় নয়, বরং সচেতন হোন। নিজের ত্বককে ভালোবাসুন, সঠিক পরিচর্যা করুন।“ত্বকের যত্ন নিন, ব্রণ দূরে রাখুন!”